জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপন করতে যাচ্ছে ২০১৮ সালের মে মাসের মধ্যে। ইসরায়েলের স্বাধীনতা ঘোষণার ৭০ বর্ষপূর্তির দিনই তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
২৩ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। খবর আলজাজিরা।
জানুয়ারিতে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়েছিলেন, এই দূতাবাস ২০১৯ সালে স্থাপিত হতে পারে। এ কারণে মে মাসে দূতাবাস স্থাপনের খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিস্ময়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এই দূতাবাস ঠিক কোথায় অবস্থিত হবে, সে ব্যাপারে পরিষ্কার জানা যায়নি। রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান এবং তার কিছু সহকারী জেরুজালেমের আরনোনা এলাকায় সাধারণ কোন এক ভবনে কাজ শুরু করবেন। ধীরে ধীরে দূতাবাসের অন্যান্য কর্মীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেবে।
ইসরায়েলের তেল আবিব শহর থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে নেবার এই সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনের নাগরিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশে সারা বিশ্বে বিক্ষোভ এবং র্যালি সংঘটিত হয়।
১৫ মে ‘নাকবা ডে’, ফিলিস্তিনের জন্য বিশেষ একটি দিন। এই দিনে ইসরায়েলের কারণে বাস্তুহারা হয় বিপুল পরিমাণে ফিলিস্তিন নাগরিক। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সালের মাঝে ইসরায়েলের কারণে অন্তত সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিন নাগরিক বাস্তহারা হয়।
ফিলিস্তিনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা আরবদের জন্য ‘উস্কানিমুলক’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’।
তবে ইসরায়েলের ইনটেলিজেন্স মিনিস্টার ইসরায়েল কাটজ, এই সিদ্ধান্ত নেবার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান এক টুইটে।
গত ৬ ডিসেম্বর প্রথম জানা গিয়েছিল মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তখন থেকেই এর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের বিক্ষোভ চলছে এবং এখন পর্যন্ত এর কারণে ২০০ জন ফিলিস্তিন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র: Al Jazeera